ফ্রিল্যান্সিং হলো নিয়োজিত কর্মকান্ড বা প্রকল্প সম্পাদন করার একটি ধরনের কর্মসংস্থান, যেখানে কর্মীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে তাদের সময় ও দক্ষতা বিকাশ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এ কোনো স্থায়ী নিয়োজিত কর্মকান্ড নেই, বরং প্রতিটি প্রকল্প বা কাজের জন্য নিয়োজনীয় সময় এবং মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন: আপনার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
- অনলাইনে প্রফাইল তৈরি করুন: ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে প্রফাইল তৈরি করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সীমানা উল্লেখ করুন।
- প্রকল্প বা কাজ লাভ করুন: প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট বা ট্রেনিং সম্পন্ন করে আপনার পছন্দের ফিল্ডে কাজ লাভ করুন।
- ভাল সম্পর্ক গড়ুন: ক্লায়েন্টদের সাথে মিলনানুবন্ধ ও সুযোগ গড়ুন যাতে পরবর্তীতে আপনার কাজের প্রস্তুতি হয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা নিম্নলিখিত হতে পারে:
সুবিধা:
- স্বাধীনতা: ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি নিজের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
- বিভিন্ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ: ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং আপনার দক্ষতা বিস্তারিত করতে পারেন।
- আয়ের সৃষ্টির সুযোগ: ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে বেশি আয় উপার্জনের সুযোগ দেয় যেখানে আপনি বিশেষজ্ঞতা অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন।
অসুবিধা:
- অনির্দিষ্ট আয়: ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের পরিমাণ অনির
্দিষ্ট হতে পারে এবং নিয়েমিত আয় নিশ্চিতভাবে হতে পারে না।
- স্থায়ী নিয়োজিত কর্মসংস্থান নেই: ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি স্থায়ী কর্মসংস্থান নেই যেটা কিছু মানুষের জন্য অসুবিধা হতে পারে।
- অস্থির নিরাপত্তা: ফ্রিল্যান্সিং করে নিয়মিত কাজের নিশ্চিততা নেই এবং কোনো অনিয়ম পরিহার নেই।
ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন হলো নিজেকে আপডেট করা, অভিজ্ঞতা অর্জন করা, নিজের প্রোফাইল সুন্দর রকমে তৈরি করা এবং নিজের কাজের মান নিশ্চিত করা।

